‘সাঁড়াশি দিয়ে টানা হচ্ছে কিশোরের যৌনাঙ্গ’

Spread the love

চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে একজনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হচ্ছে, সাঁড়াশি দিয়ে চেপে নগ্ন এক কিশোরের যৌনাঙ্গ টানা হচ্ছে- সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই কয়েকটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি ইনিউজ বাংলা) ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে ‘মস্তান’ জয়ন্ত সিং এবং তাঁর গুন্ডাবাহিনীর সদস্যদের নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে জয়ন্তের ‘তালিবানি শাসনেই’ সেইসব ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তুলে নিয়ে আসা হত। আর ক্লাবে চলত নারকীয় অত্যাচার।

এখন ভিডিও ভাইরাল (সত্যতা যাচাই করেনি ইনিউজ বাংলা) হওয়ায় শুধু হইচই হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের অত্যাচার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। মাথায় রাজনৈতিক নেতাদের হাত থাকায় এতদিন কোনও আঁচ পড়েনি জয়ন্তের উপরে। বরং উত্তরোত্তর মস্তান জয়ন্তের দাপট বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।বর্তমানে পুলিশের জালে ধরা পড়লেও আগে যে সব অত্যাচার চালিয়েছেন জয়ন্ত ও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা, তা অবর্ণনীয়।

কিন্তু কে এই জয়ন্ত?

১) অভিযোগ উঠেছে, জয়ন্ত যে ‘তালিবান শাসন’ চালাতেন, সেটার কেন্দ্রবিন্দু ছিল আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাব। তাঁর বাবা সেই আড়িয়াদহে এসে খাটাল শুরু করেছিলেন। দুধের ব্যবসা ছিল। জয়ন্তেরও হাতেখড়ি হয়েছিল সেই দুধের ব্যবসা দিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্লাবে নিজের দাপট বাড়াতে থাকেন জয়ন্ত।

২) ধীরে-ধীরে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জয়ন্ত যুক্ত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, প্রোমোটিংয়ের মাধ্যমে নিজের দাপট বাড়াতে শুরু করেছিলেন। পুকুর বুজিয়ে অবাধে বহুতলও তৈরি হত জয়ন্তের ‘নজরদারিতে’।

৩) অভিযোগ উঠেছে যে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ‘আশীর্বাদ’ পেয়ে এসেছেন জয়ন্ত। তাই তাঁর এত দাপট বেড়ে গিয়েছিল। হাতে প্রচুর টাকা এসে গিয়েছিল জয়ন্তের। সেটাই জয়ন্তের দাপটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া

জয়ন্ত ও তাঁর বাহিনীর ‘কীর্তিকলাপ’ সামনে আসার পরই মস্তানকে ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছে  তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন যে অত্যন্ত আপত্তিকর ঘটনা। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। যাদের এত দাদাগিগির শথ, তাদের পিঠের চামড়া তুলে দেওয়া উচিত, হাত-পা ভেঙে দেওয়া উচিত।

‘ঘনিষ্ঠভাবে চিনি, তবে আমার ঘনিষ্ঠ নয়’- মদন উবাচ

যদিও সেই ঘটনায় দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন মদন। পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিয়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেছেন যে জয়ন্তকে যেমন চেনেন, তেমন তাঁর বিরোধী গুন্ডাদেরও চেনেন। দুই শিবিরের লড়াইয়ের কারণেই ঝামেলা চলছে বলে দাবি করেন মদন। 

সেইসঙ্গে মদন দাবি করেন, জয়ন্তের সঙ্গে তাঁর ছবি আছে মানেই এটা নয় যে মস্তানের ঘনিষ্ঠ নন তিনি। তাঁদের ঘনিষ্ঠভাবে চেনেন। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠ নন জয়ন্ত। এমনকী জয়ন্তের ‘তালিবানি শাসন’-র কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে গুন্ডা বলতেও পিছপা হননি মদন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *