অনেকের মাঝে থেকেও একা লাগে?

Spread the love

অনেকেই আছেন একা থাকতে ভালবাসেন। কিন্তু তারা একা থাকলেও, নিজেকে একা ভাবেন না, তা ঘিরে হতাশাও নেই। কিন্তু অনেকে আছেন ভিড়ের মাঝে, উৎসবের কোলাহলে, বন্ধুবান্ধবদের হইহুল্লোড়ের মধ্যে থেকেও একা বোধ করেন। এমন হলে বুঝতে হবে আপনি একাকিত্বে ভুগছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাকিত্ব একটা বোধ। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে যেকোনও বয়সেই তা গ্রাস করতে পারে। এই বোধ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর তো বটেই, শরীরেও প্রভাব ফেলে।তাই দ্রুত এর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন।

দীর্ঘদিন ধরে একাকিত্ব বোধ করলে শরীর ও মনের উপর যেসব প্রভাব পড়ে-

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একাকিত্বে ভুগলে শরীরে এমন কিছু প্রভাব পড়ে যা কিন্তু সহজে ঠিক হয় না। যেমন-স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর বলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই কমে যায়। হৃদরোগের সমস্যাও বাড়ে। রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। আবার অনেকে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। ফলে যেমন মনের উপর চাপ পড়ে, তেমনই ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকেও ঠেলে দেয় এই বোধ।

একাকিত্ব কাটাতে কী কী করবেন?

১. যারা একাকিত্বে ভোগেন, তারা সহজে সব অনুভূতি অন্যের কাছে শেয়ার করতে পারেন না। একাকিত্ব কাটাতে অনুভূতি শেয়ার করে ভীষণ জরুরি। প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হলে এই বোধ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। এতেও হালকা থাকা যায়।

২. একাকিত্ব কাটাতে গেলে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও জরুরি। এর ফলে মন ভাল থাকে।

৩. ব্রেন এক্সারসাইজ ভীষণ জরুরি। যেকোনও কাজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকলে, কথা বললে, ব্রেন এক্সারসাইজ হয়। এর ফলে একাকিত্ব বোধ দূর হয় সহজেই।

৪. সমাজসেবামূলক কাজ করুন। মাঝে মাঝেই চেষ্টা করবেন নিজে থেকেই কাউকে সাহায্য করতে। এতে খানিকটা মনও ভাল থাকে।

৫. আধুনিক যুগে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ সময় সামাজিক মাধ্যমে কাটান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় না কাটিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন, ঘুরতে যান। কাছের মানুষদের সঙ্গে সময় কাটালে, কথা বললে একাকিত্ব বোধ কাটবে।

৬. নাচ, গান, আঁকা, ছবি তোলা, লেখালেখি করা, এই ধরনের শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও একাকিত্ব কাটতে পারে।

৭. দীর্ঘদিন একাকিত্বে ভুগলে সেটা অবসাদের কারণেও হতে পারে। তেমন অনুভব করলে থেরাপিস্ট বা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যাওয়াটা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *