বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘গতকাল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই হামলার অপরাধী, মদতদাতা এবং পরিকল্পনাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বারবার পাকিস্তান লাগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে। এই আবহে গতরাতে জয়শঙ্কর এবং মার্কো রুবিওর এই কথোপকথন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের সাথে সহযোগিতা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা পুনর্ব্যক্ত করেন রুবিও।
এদিকে রুবিও-জয়শঙ্কর ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কো রুবিও। এরই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা প্রশমন করতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসতে ভারতকে উৎসাহিত করেছেন তিনি।পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই ভারতের প্রত্যাঘাতের শঙ্কায় আতঙ্কিত পাকিস্তান। এই আবহে গতরাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ফোন করেছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। সেই সময়ই নাকি পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাছে কাতর আর্তি জানান যাতে রুবিও ভারতকে বুঝিয়ে শুনিয়ে শান্ত করেন। মুখে বড় বড় কথা বললেও পাকিস্তান যে পহেলগাঁও হামলার আবহে যে তাদের গলা শুকিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট।

এদিকে শেহবাজ শরিফের সঙ্গে মার্কো রুবিওর ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন বিদেশ দফতর বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সাধারণ ভারতীয় নাগরিককে খুন করেছিল ইসলামি জঙ্গিরা। এই ঘটনার পর থেকে কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত। তার পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হয়েছে যুদ্ধের সম্ভাবনা।