দার্জিলিঙে বৈঠক, গোলপার্কে পরদিন চিঠি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের পর বরফ গলেছে বহুদিনের। কিন্তু এই বরফ গলাই কি ফের উষ্মার কারণ হল দলের অন্দরের কারও? শোভনের স্ত্রী বৈশাখীকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের পাঠানো চিঠি, পাল্টা বৈশাখীর চিঠি ও তারপর চিঠি প্রত্যাহারের ঘটনায় তেমনটাই মনে করছেন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদরা।
মমতা-শোভন বৈঠকের পরেই কেন?
সোমবার উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা সংক্রান্ত নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল। সুমনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে ঠিক পরদিনই গোল পার্কে উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে একটি চিঠি এসে পৌঁছেছিল। ওই চিঠিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলেজের সমস্ত অধ্যাপনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালেই ইস্তফা দিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন বৈশাখী। এরপর ২০২০ সালেও আবেদন করেন। কিন্তু কোনওবারই আবেদন গৃহীত হয়নি। শোভন-সাক্ষাতের পর দিন আসা চিঠিতে বলা হয়, তার সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর থেকে বৈশাখী যা যা করেছেন, তা অবৈধ ও তার বেতনও প্রাপ্য নয়। কিন্তু তাঁর আবেদন মঞ্জুর না করার কারণেই এক বছর সহ-অধ্যাপিকার কাজ করেন বৈশাখী। রামমোহন কলেজে বদলি হলে সেখানের দায়িত্ব নেন।

মূল সমস্যা যেখানে
স্বাভাবিকভাবেই এহেন চিঠি পাওয়ার পর বৈশাখী আইনি ত্রুটির কথা উল্লেখ করে ফের চিঠি লেখেন উচ্চশিক্ষা দফতরকে। প্রাথমিক ভুল ছিল চিঠির তারিখ। মমতা-শোভন বৈঠকের সময় উচ্চশিক্ষা দফতর ছুটিতে ছিল। বিশেষ বার্তাবাহককে দিয়ে পাঠানো হয়েছিল চিঠি। কিন্তু তাতে তারিখ ছিল ৮ আগস্টের। এত আগের চিঠি কলকাতার আরেক প্রান্তে পৌঁছাতে সেপ্টেম্বর ফুরিয়ে গেল? তবে এর থেকেও গুরুতর প্রশ্ন, ইস্তফা গ্রহণ না করেও কেন বৈশাখীর এক বছরের পরিষেবাকে অবৈধ বলা হল। সেই বিষয়ে চিঠি লেখার পর এবার ‘ভুল শুধরে’ নিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সোমবার সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।