শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে গরম এবং শক্তিশালী রাখতে আমন্ড বাদাম খাওয়া খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। এই বাদামে ভিটামিন E, ফাইবার, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়, যা মস্তিষ্ক, হার্ট এবং ত্বক তিনটির জন্যই লাভদায়ক। কিন্তু প্রায়শই মানুষের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে শীতকালে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া উচিত নাকি শুকনো খাওয়াই ভালো?
আসলে, দুটি পদ্ধতিরই নিজস্ব সুবিধা রয়েছে, তবে আপনি যদি সঠিক উপায়ে এবং সঠিক সময়ে এই বাদাম খান, তবে এর পুষ্টিগুণের প্রভাব বহুগুণ বেড়ে যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে এই বাদাম খাওয়ার সঠিক উপায় এবং ভেজানো বনাম শুকনো আমন্ডের উপকারিতা।
ভেজানো আমন্ড খাওয়ার উপকারিতা
- সহজে হজম হয়: ভেজানো এই বাদামের বাইরের স্তর নরম হয়ে যায়, যার ফলে এটি চিবানো এবং হজম করা সহজ হয়।
- পুষ্টির ভালো শোষণ: ভেজানোর ফলে এই বাদামে থাকা এনজাইম সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার ফলে শরীর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ সহজে শোষণ করতে পারে।
- ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো: ভেজানো এই বাদামে ভিটামিন E-এর প্রভাব বেশি দেখা যায়, যা ত্বককে নরম এবং চুলকে শক্তিশালী করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে: ভেজানো এই বাদাম সর্দি-কাশি এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
শুকনো বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
উষ্ণতা প্রদান করে: শীতকালে শুকনো বাদাম খেলে শরীর গরম থাকে। দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায়: শুকনো বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ধীরে ধীরে শক্তি নির্গত করে, যার ফলে সারাদিন সক্রিয় থাকা যায়।
দৈনন্দিন স্ন্যাকিংয়ের জন্য ভালো: এগুলি যেকোনো জায়গায় সহজেই খাওয়া যায় – যেমন কাজের মাঝে, ভ্রমণের সময় বা চায়ের সাথে।

সঠিক উপায় কী? যদি আপনার হজমশক্তি দুর্বল হয় বা ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে ভেজানো বাদাম খাওয়াই ভালো। যদি আপনি শক্তি এবং উষ্ণতা চান, তবে সকালে দুধের সাথে 2–3টি শুকনো বাদام খান। ভালো ফলাফলের জন্য শীতকালে প্রতিদিন 4–6টি বাদাম খাওয়া উচিত। শীতকালে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া ভালো বলে মনে করা হয় কারণ এটি সহজে হজম হয় এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সম্পূর্ণ সুবিধা দেয়। তবে, সীমিত পরিমাণে শুকনো বাদামও শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি উভয় পদ্ধতিতেই বাদাম খেতে পারেন, শুধু পরিমাণ এবং সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন।