গাজায় একটি শরনার্থী শিবিরে ইসরাইলের হামলায় অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ( ৯ জুলাই) দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলের বাইরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিবিরে হামলাটি চালায় ইসরাইল। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খান ইউনিস শহরের পূর্বে আবাসান আল-কাবিরা শহরের আল-আওদা স্কুলের গেটের পাশে এই হামলা হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাসের সামরিক শাখার সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালিয়েছে। যারা ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা করেছিল।
আবাসান আল-কাবিরা এবং পূর্ব খান ইউনিসের অন্যান্য এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার এক সপ্তাহ পরে হামলাটি চালানো হলো বলেও জানায় ইসরাইল।
হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। আয়মান আল-দাহমা, ( ২১) বিবিসিকে বলেছেন ইসরাইল যে সময় হামলাটি চালিয়েছিল তখন সেখানে প্রায় ৩০০০ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার ( ৬ জুলাই) মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘ-চালিত একটি স্কুলে ইসরাইলের হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। যেখানে প্রায় ২০০০ হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, রোববার ( ৭ জুলাই) গাজার আরেকটি স্কুলে হামলায় হামাসের একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা এবং আরও তিনজন নিহত হন।
সোমবার ( ৮ জুলাই) নুসেইরাত শিবিরে জাতিসংঘ চালিত একটি স্কুলে হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, হামাসের রাজনীতিবিদ, পুলিশ কর্মকর্তা এবং যোদ্ধারা এই জায়গাগুলো ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল।