জমির জবরদখল রুখতে এবার একেবারে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের বহু আধিকারিককে এবার বদলি করা হল। একেবারে লাইন দিয়ে বদলি করা হয়েছে তাঁদের। নবান্নের(Nabanna) তরফে এনিয়ে কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়(Mamata Banerjee) এই জবরদখল নিয়ে কড়া ধমক দিয়েছিলেন। তারপরই নবান্নের তরফে এনিয়ে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তারই অঙ্গ হিসাবে একের পর এক অফিসারকে বদলি করা হয়।
সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ১৮০জন বিএলআরওকে বদলি করা হয়েছে। কয়েকজন রেভিনিউ অফিসারকেও বদলি করা হয়েছে। জেলায় জেলায় এনিয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
মমতা(Mamata Banerjee) বলেছিলেন, এবার কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে বেরোতে হবে? শুধু উপর দেখলে হবে? নীচে দেখতে হবে না? রাস্তা দেখে না, আলো দেখে না। শুধু ট্যাক্স বাড়ানো আর লোক বসাচ্ছে। এছাড়া প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মমতা(Mamata Banerjee) বলেছিলেন, অনেক ভদ্রতা দেখিয়েছি। তার মানে এটা নয় যে গায়ের জোরে জমি দখল করবেন এট নয়।…
জায়গা দখল নিয়ে এতদিন অভিযোগ করতেন বিরোধীরা। এবার এনিয়ে নিশানা করেছিলেন খোদ মমতা। তিনি বলেছিলেন, কোথাও জবরদখল হলে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? অনেকে আছেন এর মধ্যে। নাম বলে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। তবে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই তাঁরা লোক বসাচ্ছেন বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
মমতা(Mamata Banerjee) বলেছিলেন, কোথাও ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকলে সেটাও খুলে নিয়ে বিক্রি করে দেন অনেকে। তার জন্য় একটা সিস্টেম কেন হচ্ছে না? কেন জল অপচয় হচ্ছে? …কেউ টাকা খেয়ে কেউ টাকা খাইয়ে এসব করাচ্ছেন। মমতার সাফ কথা, রাম শ্য়াম যদু মধু যেই হোন, আমিও যদি হই ছাড়বেন না। লোভ বেড়ে যাচ্ছে। লোভটাকে কমাতে হবে। সরকারি জমি দখল করে একের পর এক বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকার নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। তার রক্ষণাবেক্ষণও হচ্ছে না। কেন এসব হবে? দেখার দায়িত্ব কেবল আমার?
আসলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত ঘুঘুর বাসা। নানা অনিয়ম চলে। শিলিগুড়ি থেকে বর্ধমান সর্বত্র এই পরিস্থিতি। বছরের পর বছর ধরে এই পরিস্থিতি চলছে। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। কিন্তু কেউ এনিয়ে এতদিন পদক্ষেপ নিতেন না। তবে দেরিতে হলেও এবার এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি নবান্নের মিটিংয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের রুদ্র রূপ দেখেছিল বাংলা। একেবারে নাম করে ধমক দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। মন্ত্রী সুজিত বসুর নাম ধরে ধমক দিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই কলকাতা- হাওড়ার রাস্তার অবস্থা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।