বেলাগাম দূষণে জেরবার দিল্লি। বাতাসে পিএম ২.৫ কণার দূষণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। শীতের সময়ে যার জেরে বাতাসের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ থাকে। বাতাসের এই দুর্দশা কিছুটা কমাতেই ক্লাউড সিডিং করে কৃত্রিম বৃষ্টির আয়োজন করছে দিল্লি। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৯ অক্টোবর দিল্লিতে প্রথমবার ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানো হবে বলে জানিয়েছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত।
কী জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
রেখা গুপ্ত তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির আবহাওয়া সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তার ভিত্তিতেই ২৯ অক্টোবর বৃষ্টির আয়োজন করা হচ্ছে। বুবারি এলাকায় ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটানো হয়েছে।
কীভাবে ঘটানো হবে কৃত্রিম বৃষ্টি?
কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটাতে মেঘের মধ্যে থাকা জলীয় বাষ্পকে ভারী করে তুলতে হয়। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভার হলেই মেঘ থেকে জল বৃষ্টির আকারে নেমে আসে পৃথিবীর বুকে। এই জলীয় বাষ্পকে ভারী করা হয় ক্লাউড সিডিং পদ্ধতিতে। দুই ধরনের ক্লাউড সিডিং করা যায়। একটি হল হাইগ্রোস্কোপিক ক্লাউড সিডিং ও অন্যটি হিমবাহজনিত ক্লাউড সিডিং।
হাইগ্রোস্কোপিক ক্লাউড সিডিং – উষ্ণ মেঘের উপর লবণ কণা (যেমন পটাসিয়াম ক্লোরাইড বা সোডিয়াম ক্লোরাইড) ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই লবণ কণা পাওয়ামাত্রই জলকণা একত্রিত হতে শুরু করে। এর ফলে জলকণা যুক্ত হলে তাদের ভার বেড়ে যায়। তার পর সেটি বৃষ্টির আকারে ঝরতে থাকে।

হিমবাহজনিত ক্লাউড সিডিং – সিলভার আয়োডাইড বা শুষ্ক বরফের মতো পদার্থকে ভীষণ মেঘের মধ্যে প্রবেশ করানো। এই কণাগুলি বরফের স্ফটিক তৈরি করতে সাহায্য করে। এই অবস্থায় ওজন বেড়ে গেলে বৃষ্টির আকারে নিচে নেমে আসে সেই কণা। পরে গলে যাওয়ার পরে বৃষ্টিপাত হয়।
প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়
পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টি ঘটাতে প্রায় ৩.২১ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। আইআইটি কানপুর থেকে একটি ক্লাউড সিডিং ফ্লাইট আসবে দিল্লিতে। সেটিই লবণ কণা ছড়িয়ে বৃষ্টি ঘটাবে। তারপর ফিরে যাবে গন্তব্যে।