Big Breaking: বাবা, মা, বৌদিকে কোপাল যুবক

Spread the love

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির(Kultali) পর মালদা। নেশা করার টাকা না পেয়ে বাবা, মা এবং বৌদিকে ছুরি দিয়ে কোপাল যুবক। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বৌদির। পরে ওই যুবক নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

অভিযোগ, টাকা না পাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে অশান্তি শুরু করে দেন ওই যুবক। এদিন সেই ঝামেলা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। শেষপর্যন্ত ছুরি বের করে বাবা-মা থেকে শুরু করে বৌদিকে একের পর এক কোপাতে থাকেন ওই যুবক। পরে সেই ছুরি দিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ইসরাইল।

যুবকের পাশাপাশি তাঁর বাবা সিলু সেখ এবং মা মুজলেফা বিবি গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনায় চারজনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু, চিকিৎসকরা নাজিমা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা এখনও চলছে।

ঘটনায় তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটল মালদার ইংলিশ বাজার থানার মহদিপুরের লিচুপাড়া এলাকায়। ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়েছে এলকায়।

যুবকের দাদা তথা মৃত মহিলার স্বামী জানান, এভাবে প্রায়ই তাঁর ভাই বাড়ি থেকে নেশা করার জন্য টাকা চেয়ে অশান্তি করতেন। দিনকয়েক আগে মোবাইল কেনার জেদ ধরেছিলেন। তা নিয়ে তুমুল অশান্তি হয়েছিল পরিবারে। শেষপর্যন্ত ১১ হাজার টাকা দিয়ে তাঁকে নতুন মোবাইল কিনে দেওয়া হয়। নতুন মোবাইল পেয়ে দু’দিন চুপচাপ থাকলেও ফের নেশা করার জন্য টাকা চেয়ে ঝামেলা করেন। সেইসময় বাড়ির সকলকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ করেছেন। তার আরও অভিযোগ, গ্রামের একাধিক যুবক একটি বাগানে প্রতিদিন মদ্যপান করেন। অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এ বিষয়ে সেলিম শেখ নামে এক গ্রামবাসী জানান, ‘গ্রামে যাতে কেউ নেশা করতে না পারে তা নিয়ে আমরা গ্রামবাসীরা মিলে আলোচনায় বসব এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম ইসরাইল শেখ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর বৌদি নাজিমা খাতুনের। পারিবারিক সূত্রের খবর, প্রায়ই নেশায় ডুবে থাকতেন ইসরাইল। সেজন্য বাড়ির লোকের কাছ থেকে টাকা চেয়ে থাকে টাকা নিতেন। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানালে তাঁদের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তেন ইসরাইল । রবিবারও বাড়িতে নেশা করার জন্য টাকা চেয়েছিলেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *