সিএএ নিয়ে সংশয় ছিল অনেক মতুয়ার মনেই। এবার এসআইআর নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এই আবহে বিজেপি বিধায়ক তথা মতুয়া সম্প্রদায়ের অত্যন্ত পরিচিত মুখ অসীম সরকার দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন। সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনওরকমভাবে যদি হেলাফেলা করা হয় তবে বিজেপিকে কিন্তু ছেড়ে কথা বলা যাবে না।’
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে শীঘ্রই হতে চলেছে ভোটার তালিকা সংশোধন। সেই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। উল্লেখ্য, শুভেন্দু থেকে শমীক ভট্টাচার্য বারবার দাবি করে এসেছেন, এসআইআর-এ ওপার থেকে আসা কোনও হিন্দু শরণার্থীর নাম বাদ যাবে না। তবে তার জন্যে সেই শরণার্থীকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে। এই আবহে ভোটার তালিকা সংশোধনের আগে সিএএ নিয়ে তৎপর গেরুা শিবির। এই আবহে রাজ্যে ৭০০-র মতো সিএএ ক্যাম্প বসাতে চলেছে পদ্ম শিবির। ১৭টি জেলায় বিধানসভা ভিত্তিক সিএএ সহায়তা ক্যাম্প খোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত বিজেপির।
মূলত যে সব জেলায় মতুয়া, উদ্বাস্তু মানুষরা অধিক সংখ্যায় বসবাস করছেন, সেখানে সিএএ-র ওপর বেশি করে জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যের মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। এই সব জেলায় থাকা সব বিধানসভায় মণ্ডল ভিত্তিক সিএএ ক্যাম্প খুলতে বলা হয়েছে স্থানীয় নেতত্বকে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

এই সিএএ ক্যাম্প নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশ ভাগের সময় বা তার পরে যে পাপ করেছে কংগ্রেস, সেই পাপমুক্তি বা প্রায়শ্চিত্ত করছে বিজেপি। আমরা বাংলাদেশি উদ্বাস্তু হিন্দুদের পক্ষে। এটা আমাদের ঘোষিত অবস্থান। তার জন্য আমরা ক্যাম্প করব, অর্থ সাহায্য করব। বিজেপি যতক্ষণ আছে, ততক্ষণ একজন উদ্বাস্তু হিন্দুর কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।’