Bratya Basu On Supreme Court। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই খোঁচা ব্রাত্য বসুর

Spread the love

রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগের জট কাটাতে এবার সার্চ কমিটি গড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, উপাচার্য নিয়োগের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনজনের নাম পাঠাতে হবে সার্চ কমিটির কাছে। সেই তালিকা থেকে একজন অধ্যাপকের নাম চূড়ান্ত করে আচার্যকে পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। আর তখনই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল(Cv Anand Bose)। আগামী দু’‌সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই নির্দেশে খুশি হয়ে ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা পোস্ট করেছেন।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাক্তন বিচারপতি ইউ ইউ ললিতকে চেয়ারম্যান করতে হবে। সার্চ কমিটি গঠন করতে পারেন চেয়ারম্যান। সার্চ কমিটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য তিনজনের নাম চিহ্নিত করবে। ওই তিনজনের নাম যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেখান থেকে ‘অর্ডার অফ প্রেফারেন্স’ বাছাই করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর সেই তালিকা যাবে রাজ্যপালের কাছে। বাংলার ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সমস্যা অব্যাহত। রাজ্য় বনাম রাজ্যপালের দড়ি টানাটানিতে জল গড়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। রাজ্যের অভিযোগ, উপাচার্য সংক্রান্ত একটি বিল বিধানসভায় পাশ হলেও রাজ্যপাল তাতে সই করেননি। এই নির্দেশ আজ, সোমবার আসার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লিখেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গণতন্ত্র জিতেছে।

ঠিক কী লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী?‌ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর(Bratya Basu)সঙ্গে জোর সংঘাত শুরু হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের(CV Anand Bose)। একে অপরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ পর্যন্ত করেছিলেন। এবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এক্স হ্যান্ডেলে শিক্ষামন্ত্রী লিখলেন মনের কথা। ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘‌উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের যে বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে সেই কথাই বলেছে। আজকের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বে সার্চ কমিটি গঠিত হবে। সেই কমিটিই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপাচার্য পদের জন্য তিনজনের নাম প্রস্তাব করবে। মুখ্যমন্ত্রী তার মধ্যে থেকে নিজের পছন্দ মতো নাম বেছে রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন। তার পর রাজ্যপাল উপাচার্য় নিয়োগ করবেন।মুখ্যমন্ত্রীর নাম পছন্দ না হলে তিনি তাও জানাবেন। আবার গণতন্ত্রের জয় হল।’‌

এদিকে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ শেষ করতে হবে। এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল বিরোধ চরমে উঠেছিল। তাই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। প্রথমবার পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে কাজ না হওয়ায় ধমক দিয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। এবার সরাসরি নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশের পরই এক্স হ্যান্ডেলে ভেসে ওঠে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা। ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‌গণতন্ত্রের জয় হয়েছে’‌। এটা রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে লেখা কিনা তা স্পষ্ট হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *