একজন টলিউডের ‘বস’, অন্যজন ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বড় টলিউডের সবচেয়ে বড় দুই তারকা নিঃসন্দেহে দেব এবং জিৎ। অভিজ্ঞতায় দেবের চেয়েও এগিয়ে রয়েছেন জিৎ। এই দুই তারকার ভক্তদের মধ্যে রেষারেষি রয়েছে। কিন্তু দুজনের বন্ধুত্ব চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি সেই গলায় গলায় ভাবের ছবিটা ধরা পড়ল ফেডারেশনের বিজয়া সম্মিলনীতে।
সব ভেদাভেদ ভুলে এদিন একছাদের তলায় পাওয়া গেল গোটা ইন্ডাস্ট্রিকে। এদিন দেবের সঙ্গে ঝামেলা ভুলে আদুরে আলিঙ্গন কুণাল ঘোষের। তবে সবকিছুতে ছাপিয়ে গেল দেব-জিতের রসায়ন। কালো পাঞ্জাবিতে সুদর্শন জিৎ। একদম বাঙালি বাবুর বেশে পাওয়া গেল তাঁকে। এমনিতে রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন জিৎ, এদিন অবশ্য অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তুললেন। আর্টিস্ট ফোরামের কার্যকরী সভাপতি জিৎ, সেই সূত্রেই তাঁর এখানে আসা। এরসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।
আসমানি নীল ফুলস্লিভস টিশার্টে ক্যাজুয়াল লুকে দেব। রঘু ডাকাতের সাফল্যের চওড়া হাসি দেবের মুখে। জিৎকে দেখেই দেব এগিয়ে গিয়ে আলিঙ্গন করলেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে। বক্স অফিসের কম্পিটিশন তাঁদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেনি সেটা বুঝিয়ে দিলেন।
জিৎ আর দেবকে একফ্রেমে পেয়ে সবার মনে একই প্রশ্ন দুই পৃথিবী ২ কি আসছে? দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা দেব এবং জিৎ একসঙ্গে একটা ছবি করুক ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে। মাঝে দুই পৃথিবীর সিকুয়েল নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এদিন সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন সামনে রাখতেই জিৎ হাসিমুখে বলেন, ‘এই প্রশ্নটা তো প্রযোজকের কাছে যাওয়া উচিত। প্রযোজকরা ছিলেন আজকে। মিস করে গেলেন আপনারা (সাংবাদিকরা)’।জিৎ-এর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে, অন্যদিকে দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্সও নিয়মিত ছবি প্রযোজনা করছে। সেই কথা মনে করাতেই জিৎ বললেন, ‘কিন্তু ওই ছবির (দুই পৃথিবী) কপিরাইট তো প্রযোজকদের কাছেই (শ্রীকান্ত মোহতা ও মহেন্দ্র সোনি, SVF)’।

দেবের সঙ্গে ছবি করা নিয়ে জিৎ জানিয়েছেন, সঠিক চিত্রনাট্য পেলে তাঁর ছবি করতে কোনও আপত্তি নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে দেবের মুখেও। ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী দুজনেই। দেবকে আগামিতে দেখা যাবে প্রজাপতি ২ ছবিতে। অন্যদিকে জিৎ-এর পরবর্তী রিলিজ হতে চলেছে ‘কেউ বলে বিপ্লবী, কেউ বলে ডাকাত’।