দারুণ-দারুণ সোনার গয়না ছাড়া বিয়ের কথা ভাবাই যায় না। অনেকেই সোনার গয়না না পরে বিয়ে করেন। কিন্তু সেরকম ঘটনা একেবারেই কম। অধিকাংশ মানুষই সাজগোজ করে বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে যান। কিন্তু উত্তরাখণ্ডে দুটি গ্রামে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বিয়ে বা কোনও অনুষ্ঠানে মহিলারা বেশি গয়না পরতে পারবেন না। মহিলাদের শুধুমাত্র কানের দুল, মঙ্গলসূত্র এবং নাকের নথ পরার অনুমতি রয়েছে। আদেশ না মানলে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
কোন কোন গ্রামে এরকম নিয়ম চালু করা হল?
গ্রামবাসীদের এই অদ্ভুত আদেশের কারণটিও বেশ আকর্ষণীয়। দেরাদুন জেলার দুটি গ্রাম কান্দার এবং ইদ্রোলিতে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এই আদেশটি পুরো রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে, এখন থেকে মহিলারা বিয়ের অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র তিনটি সোনার গয়না পরতে পারবেন।

কী কারণে এমন নিয়ম জারি করা হয়েছে?
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, এই নিয়মের উদ্দেশ্য হল সমাজে সরলতা এবং সমতা বৃদ্ধি করা। বিয়ের সময় লোকদেখানো এবং আর্থিক চাপ কমানোর জন্য গ্রামের সম্মিলিত সম্মতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গ্রামে বিয়েতে সোনার গয়নার আধিক্যের কারণে আর্থিক বৈষম্য এবং সামাজিক প্রতিযোগিতা বাড়ছিল, যা বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এটিকে দরিদ্র পরিবারের উপর বিয়ের খরচের চাপ কমানো এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠার একটি উদ্যোগ হিসেবেও দেখা হচ্ছে।
সামাজিক সংস্কার আন্দোলন, মত গ্রামবাসীদের
দুটি গ্রামের বাসিন্দারা একটি সম্মিলিত বৈঠক করে এই নিয়ম তৈরি করেছেন এবং এটি লঙ্ঘনকারীদের কঠোর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। যদি কোনও মহিলা নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি গয়না পরেন, তবে তাঁকে ৫০,০০০টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তটি গ্রামের সমস্ত মানুষের সম্মতিতে নেওয়া হয়েছে এবং এটিকে একটি সামাজিক সংস্কার আন্দোলন হিসেবেও দেখা হচ্ছে।