NTA on NEET Paper Leak Row: ৩০ লাখে প্রশ্নপত্র কেনা পরীক্ষার্থীরা কেমন ফল করেছেন NEET-এ? 

Spread the love

বুধবার গভীর রাতে সুপ্রিম কোর্টে নিট পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে একটি হলফনামা পেশ করে এনটিএ। উল্লেখ্য, অভিযোগ উঠেছে, পটনা এবং রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুরে নিট পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছিল। এই আবহে পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বুধের রাতে শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এনটিএ দাবি করল, নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ সত্যি নয়। এনটিএ-র দাবি, পটনায় যে সব পরীক্ষার্থী প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তারা কেউই পরীক্ষায় এমন কোনও ভালো মার্কস পাননি। পরীক্ষার স্বচ্ছতা এতে নষ্ট হয়নি। 

এরই পাশাপাশি এনটিএ দাবি করে, ‘পটনায় নিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যে ট্রাঙ্কে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তার কোনওটারই তালা ভাঙা ছিল না। কোনও প্রশ্নপত্রই হারিয়ে যায়নি পরীক্ষার আগে। এনটিএ পর্যবেক্ষকরা এই নিয়ে কোনও অভিযোগ জানাননি।’ আর রাজস্থানে সাওয়াই মাধোপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে এনটিএ-র দাবি, সেখানে প্রথমে ভুল প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়েছিল। পরে তা শুধরে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে হল ছেড়েছিলেন। তাই সেই সব পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমে কিছু প্রশ্নপত্রের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে নিট পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পরই পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে একটি খবর গিয়েছিল। জানানো হয়েছিল, একটি সাদা রঙের রেনল্ট ডাস্টার গাড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে দেখা গিয়েছে। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে এই গাড়ি একটি নির্দিষ্ট গ্যাং সদস্যের। এর আগে সেই গ্যাং সদস্যের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। আর গত ৫ মে বিহার পুলিশের এসএইচও অমর কুমারের কাছে যে খবর আসে, তাতে ইঙ্গিত মেলে যে নিট পরীক্ষায় ‘অনিয়ম’ হয়ে থাকতে পারে। সেদিন বিহার পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩ জন – সমস্তিপুরের সিকান্দর যাদভেন্দু (৫৬), দানাপুরের অখিলেশ কুমার (৪৩) এবং রোহতাসের বিট্টু কুমার (৩৮)। এই তিনজনকে পুলিশ জেরা করে। সেই সময় পেশায় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সিকান্দর তদন্তকারীদের জানান, সঞ্জীব সিং, রকি, নীতীশ কুমার এবং অমিত আনন্দ নামক ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং ‘সেটিং’ হয়। এদিকে সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি অ্যাডমিট কার্ড যাদের ছিল, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করে। এই অমিত আনন্দই গোটা চক্রের মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করা হচ্ছে।

এরপর বিহার পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স ইউনিটের হাতে একের পর এক প্রমাণ এসেছে এই সংক্রান্ত। জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীরা ৬টি পোস্ট ডেটেড চেক উদ্ধার করেছেন। তা থেকে জানা গিয়েছে, নিটের তথাকথিত প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্যে পরীক্ষার্থী পিছু ৩০ লাখ টাকা করে নিয়েছিল মাফিয়া গোষ্ঠী।

এর আগে নিট-ইউজি ২০২৪ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়ে বহু আবেদন। বিহার পুলিশও তদন্ত চালিয়ে ‘সলভার গ্যাং’-এর পর্দা ফাঁস করে। জানা যায়, এক একটা প্রশ্নপত্র ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। তবে এই ঘটনায় জড়িত কোনও পরীক্ষার্থীই সেভাবে ভালো ফল করতে পারেনি বলে দাবি করা হয়েছে এনটিএ-র হলফনামায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *