লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা এবং ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইবতিসাম ইলাহি জহির আজকাল বাংলাদেশে খুব সক্রিয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে এবং মৌলবাদী শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইবতিমাস ইলাহি দেশের বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর সীমান্তবর্তী জেলায় যাচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইবতিমাস ইলাহি জহির পাকিস্তানের মারকাজি জমিয়তে আহলে হাদিসের সাধারণ সম্পাদক। জানা গিয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাজশাহি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় গিয়েছে জহির। চলতি সপ্তাহে তার রংপুর যাওয়ার কথা রয়েছে। এ বছর এটি জহিরের দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেও সে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় বাংলাদেশে ছিল। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, এবারের জহিরের সফরের লক্ষ্য খুবই উদ্বেগজনক। রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারি এবং জয়পুরহাট ও নগাঁও সীমান্তবর্তী জেলা জুড়ে ঘোরার কথা রয়েছে তার।
রাজশাহির ডাঙ্গিপাড়ায় মেগা সালাফি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ৬-৭ নভেম্বর। এই মেগা সালাফি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা জহিরের। জহির ৮ নভেম্বর পাকিস্তানে ফিরে যাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশে জহিরের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ধর্মীয় সমাবেশে ইসলামের জন্য নিজেকে এবং আপনার সন্তানকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকুন। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত সকল মুসলমান ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে।’

কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে এই জঙ্গি নেতা বলে, ‘কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কাশ্মীরে যে অন্যায় হচ্ছে তার বিরুদ্ধে জোরালো ভাবে সোচ্চার হওয়া পাকিস্তানের দায়িত্ব। আল্লার রহমতে এমন দিন আসবে যখন কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ হয়ে যাবে।’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও পর্যন্ত জহিরের সফর নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। যদিও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ইতোমধ্যে তার বক্তব্য ও সীমান্ত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সতর্ক হয়েছে।