‘SIR ঘোষণা হতেই NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা প্রৌঢ়ের’

Spread the love

এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই পানিহাটির মহাজ্যোতি নগরের বাসিন্দা প্রদীপ কর আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যু ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ৫৭ বছরের ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর রেখে যাওয়া চিঠিতে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি।’ এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে একটি তীব্র বার্তা দিয়ে বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ তুলে।

মমতা লিখেছেন, ‘এটি শুধু এক ব্যক্তির মৃত্যু নয়, এটি সংবিধান ও মানবতার উপর এক ভয়ানক আঘাত। বিজেপি বছরের পর বছর ধরে নাগরিকদের মনে ভয় ঢুকিয়েছে। মিথ্যা প্রচার, বিভ্রান্তি, আতঙ্ক এবং ঘৃণার রাজনীতি চালিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারে আঘাত করেছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘ভাবলে গা শিউরে ওঠে, কীভাবে এই বিজেপি নিরীহ নাগরিকদের মনকে বছরের পর বছর ধরে এনআরসি-র আতঙ্কে কাবু করে রেখেছে। মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালিয়ে, ভোটের স্বার্থে আতঙ্ক ছড়িয়ে, দেশে বিভাজনের রাজনীতি করেছে তারা।’

মমতার অভিযোগ, দিল্লির শাসকরা দেশপ্রেমের বুলি আওড়ালেও, আসলে সাধারণ মানুষকে এমন এক ভয় দেখানো ব্যবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন, যেখানে নাগরিকেরা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবি করেন, তাঁরাই আসলে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যেখানে মানুষ নিজের দেশেই ‘বিদেশি’ হয়ে যাওয়ার ভয়ে প্রাণ দিচ্ছেন। এই মৃত্যুই বিজেপির বিষাক্ত প্রচারের সরাসরি পরিণতি।’

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বাংলায় কখনও এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না। তিনি লেখেন, ‘আমি দাবি জানাচ্ছি, কেন্দ্র সরকার যেন এই নির্মম খেলা অবিলম্বে বন্ধ করে। বাংলার মাটি মা, মাটি, মানুষের, ঘৃণার ব্যবসায়ীদের নয়। দিল্লির জমিদাররা শুনে রাখুন বাংলা প্রতিরোধ করবে, বাংলা রক্ষা করবে, আর বাংলা শেষ পর্যন্ত জিতবেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *