Sweta-Rubel। ‘বাবাই আমি তোর জীবনে এতটা স্পেশাল?’ শ্বেতার গালে আদুরে চুমু

Spread the love

আমার চোখে ঠোঁটে গালে তুমি লেগে আছো…. কানে কানে যেন হবু বউকে এ কথাই বললেন রুবেল। টেলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত প্রেমিক যুগল শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাস। বর্তমানে জি বাংলা দুটো পৃথক মেগায় দর্শক দেখছে তাঁদের। কিন্তু যমুনা ঢাকির সেই রসায়ন আজও অটুট। জি বাংলার এই মেগার সেটেই শুরু হয়েছিল শ্বেতা-রুবেলের প্রেমের গল্প।

আগামী বছর সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুজনে। সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস। বিয়ের আগে শ্বেতার জন্মদিনটা স্পেশ্যাল করে তুললেন রুবেল। পুজোর আগে দুজনেরই শ্যুটিংয়ের চাপ। সেই-সব ব্যস্ততা সামলে হবু বউকে রোম্যান্টিক সারপ্রাইজ দিলেন পর্দার সৃজন।

পরস্পরকে চোখে হারান শ্বেতা-রুবেল। ছেলেবেলায় নাচের স্কুলে শুরু বন্ধুত্ব। তারপর লম্বা পথ পেরিয়ে একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু। সিরিয়ালের সেট মিলিয়েছিল তাঁদের। তখন অবশ্য শ্বেতা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে। ৯ বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক ভাঙার পর রুবেল হয়ে উঠেছিলেন শ্বেতার ভাঙা হৃদয়ের একমাত্র অবলম্বন। জন্মদিনে প্রেমিকার জন্য় কোনও লাখ টাকার উপহার নয়, বরং রুবেলের তরফে রইল নিজের হাতে লেখা চিঠি। আজকে হোয়াটসঅ্যাপ, ভিডিয়ো কলের জমানায় যা রীতিমতো বিরল!

শুধু তাই নয়, যে নাচের সুবাদে শুরু দুজনের সম্পর্ক সেটাই বা বাদ থাকে কী করে! জন্মদিনে শ্বেতার জন্য রুবেলের তরফে থাকল বিশেষ ডান্স পারফরম্যান্স। ‘তুঝমে রব দিখতা হ্যায়…’ গানে নেচে শ্বেতাকে ইমপ্রেস করলেন নায়ক। যা দেখে রীতিমতো আবেগপ্রবণ শ্বেতা। সেই ঝলক নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার জন্মদিনের সেরা উপহার তোর লেখা চিঠি আর আমাকে ডেডিকেট করে তোর করা নাচ…বাবাই সত্যি আমি তোর জীবনে এতটা স্পেশাল!!?? আমাকে যে জায়গাটা দিয়েছিস আমি তার মূল্য রখবো বাবাই, কথা দিলাম। আর একটা কথা, এই ভাবেই ভালোবাসিস. এই ভাবেই পাশে থাকিস, তোকেও আগলে রাখবো প্রমিস’।

ওদিকে শ্বেতার জন্মদিনে নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আমি চাই তুই আজীবন খুশি থাক, আমি যেন তোর জীবনের সেরা মানুষটা হয়ে উঠতে পাি। তোর জন্মদিনটা স্পেশ্যাল, কারণ তুই মানুষটাই বিশেষ। আশা করছি তুই জানিস, যে আমার জীবনে তোর অর্থ কী, এবং আমি কতটা সৌভাগ্যবান তোকে আমার জীবনে পেয়ে, শুভ জন্মদিন..’। 

দমদমের এক ক্যাফেতে দুই পরিবারকে নিজেই জন্মদিনটা উদযাপন করেছেন শ্বেতা। শ্বশুরবাড়ির মানুষগুলোর খুব আপন তিনি। শুরু থেকেই দুজনের সম্পর্কে সায় রয়েছে দুই পরিবারের। বরং তাঁরাই এই সম্পর্কের অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছেন। আপতত শ্বেতা-রুবেলের চার হাত এক হওয়ার পালা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *