WB election 2026 result prediction। এসআইআরে ভয় পায় না তৃণমূল! গতবারের থেকে এবার ১টা হলেও আসন বাড়বে

Spread the love

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (এসআইআর) নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, এসআইআর করলেও গতবারের থেকে এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুল শিবিরের একটি হলেও আসন বাড়বে। আর বিজেপির আসন সংখ্যা ৫০-র নীচে নেমে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূল এসআইআরকে ভয় পায় না। বাংলার মানুষের গায়ে হাত পড়লে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক।

এসআইআর নিয়ে অভিষেক কী কী বললেন?

১) অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি একজনও যোগ্য ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের এক লাখ মানুষ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের বাইরে ধরনায় বসবেন।

২) এসআইআরের মাধ্যমে পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসির চেষ্টা করা হচ্ছে, দাবি করলেন অভিষেক।

৩) অভিষেক: আপনি এসআইআর করলে আগে মিজোরাম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে করা উচিত নির্বাচন কমিশনের। ভারতের মানচিত্র দেখিয়ে অভিষেক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি দাবি করে কেন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের ঘোষণা করা হল? অন্যান্য সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির (বাংলাদেশ এবং মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলি) ক্ষেত্রে এসআইআর করা হচ্ছে না কেন? ‘

৪) নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির সহযোগী সংস্থা বলে আক্রমণ করলেন অভিষেক। তিনি দাবি করেছেন, ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্যই এসআইআর করা হচ্ছে। নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এসআইআর করা হচ্ছে না। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, আগেরবার দু’বছর ধরে এসআইআর করা হয়েছিল। এবার কীভাবে এসআইআর করা সম্ভব হবে?

৫) বিজেপিকে পরামর্শ দিয়ে অভিষেক বলেছেন যে মানুষকে বোকা ভাববেন না। মানুষ যদি বোকা হতেন, তাহলে বিজেপি ৩৫০-৪০০টি আসন পেত। কিন্তু ২৪০টি পেয়েছে। পরেরবার ১০০-তে নেমে যাবে।

নির্বাচন কমিশনের ‘SIR’ আশ্বাস

আর অভিষেক সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের তরফে এসআইআরের ঘোষণার পরে। সোমবার ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ঘোষণা করেন, প্রথম দফায় বিহারের পরে দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হবে। সেইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য হল, প্রত্যেক যোগ্য ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রত্যেক অযোগ্য ভোটারকে ভোটার তালিকা থেকে বের করে দেওয়া।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *