এবার ভারতের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে ৮০০ কিমি রেঞ্জের ব্রহ্মস মিসাইল। দুই বছরের মধ্যেই এই মিসাইল সেনার হাতে চলে আসবে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এছাড়াও, ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেঞ্জের অ্যাস্ট্রা ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদনও ২০২৬-২৭ থেকে শুরু হবে। জানা গিয়েছে, ৮০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রটি আপাতত পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই মিসাইলে একটি নতুন ইঞ্জিন থাকবে এবং আরও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০২৭ সালের মধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত হতে পারে।
বর্তমানে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ পর্যন্ত খুব উচ্চ গতিতে ছুটে যেতে পারে। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় সুখোই-৩০ বিমান থেকে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এই ব্রহ্মস মিসইল। এদিকে এবার সফ্টওয়্যার আপডেট এবং কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ৮০০ কিলোমিটার পরিসীমায় আপগ্রেড করা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনী প্রথমে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি গ্রহণ করবে। অন্যদিকে এয়ার-লঞ্চ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রস্তুত হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
অন্যদিকে, ডিআরডিও অ্যাস্ট্রা মার্ক-২ ক্ষেপণাস্ত্রের পরিসীমা ১৬০ কিলোমিটার থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি করার জন্য কাজ করছে। ভারতীয় বিমান বাহিনী ২৮০টিরও বেশি অ্যাস্ট্রা মার্ক-১ ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এগুলি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, অ্যাস্ট্রা মার্ক-২’র পরীক্ষাগুলি যদি সফল হয় তবে এই মিসাইলের উৎপাদন ছয় মাসের মধ্যে শুরু হতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনা সুখোই এবং তেজস বিমানের জন্য ৭০০টি মার্ক-২ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করছে বায়ুসেনা। এছাড়া ৩৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি মার্ক-৩ ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করা হচ্ছে, যা তিন বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ মিশনের অধীনে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রোডাকশন ইউনিটে তৈরি ব্রহ্মস মিসাইলের প্রথম ব্যাচ উদ্বোধন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, ‘দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনওভাবেই ব্রহ্মসের গ্রাস থেকে পালাতে পারবে না। পাকিস্তানের ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন আমাদের ব্রহ্মসের নাগালের মধ্যে আছে। অপারেশন সিঁদুরে যা হয়েছে, সেটা স্রেফ ট্রেলার ছিল। আর সেই ট্রেলারই পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ভারত যদি পাকিস্তানের জন্ম দিতে পারে, তাহলে (আমাদের দেশ) আরও কী করতে পারে, সেটা আমায় আর বলে দিতে হবে না।’ এই হুঁশিয়ারির মধ্যেই এবার সামনে এল ব্রহ্মস মিসাইলের অত্যাধুনিক মডেল নিয়ে বড় আপডেট।