শুধু দশমী নয়, আমরা বলে থাকি বিজয়া দশমী। কিন্তু এই বিজয়া শব্দের উৎপত্তি কীভাবে, তা কি কখনও ভেবে দেখেছেন? মায়ের বিদায়বেলাকে বিজয়া দশমী বলার নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কারণ।
শ্রী শ্রী চণ্ডীর কাহিনি
বিজয়া শব্দটি এসেছে বিজয় থেকে। যার অর্থ জয়লাভ করা। তবে এ কিন্তু রামচন্দ্রের জয়লাভের কথা বলে না। প্রচলিত পুরাণকাহিনি অনুসারে, তারও অনেক আগের এক কাহিনির কথা বলা হয়। মনে করা হয়, ওই কাহিনিতেই লুকিয়ে আছে বিজয়া শব্দটির বীজ।
প্রাচীনকালে মহিষাসুরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বর দেন, তিনি কোনও পুরুষের হাতে বধ্য হবেন না। একমাত্র এক নারীই তাঁকে বধ করতে পারবে। এদিকে বর পেয়ে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতালে প্রলয় শুরু করে দিল মহিষাসুর। সিংহাসনচ্যুত হলেন দেবরাজ ইন্দ্র। অন্যান্য দেবতারাও অত্যাচারিত হয়ে পালিয়ে গিয়ে হাজির হলেন তিন দেবতার কাছে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর তখন সমস্ত দেবতাদের অনুরোধ করলেন নিজ নিজ তেজঃপুঞ্জ একত্র করে একজন অসীম ক্ষমতাশালী নারীর সৃষ্টি করতে। প্রকট হলেন দেবী দুর্গা।
দেবীর জয়লাভ
দেবী দুর্গা এর পর দশপ্রহরণধারিনী রূপ নিয়ে রণসজ্জায় সেজে মহিষাসুরের সেনাবাহিনীকে বধ করলেন। তার পর শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে লড়াই। মহিষ নানা রূপ ধরে দেবীকে প্রতারণা করতে শুরু করল। নয় দিন নয় রাত্রি ধরে চলল লড়াই। অবশেষে দশমীর দিন মহিষাসুরকে বধ করলেন দেবী। বিজয়লাভ করলেন দশভুজা।

রাবণবধের কাহিনি
দশমীতে দেবী বিজয়লাভ করেছিলেন বলে দিনটি বিজয়া দশমী নামে খ্যাত। তবে অনেকে বলে থাকেন, দশমীতেই রাবণ বধ করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। রামচন্দ্রের বিজয়লাভের কারণেই দিনটির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে বিজয়া দশমী শব্দটি।