যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিট বুকিং প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করে তুলতে ভারতীয় রেল একাধিক পদক্ষেপ করেছে। চলতি বছরের শুরুতেই রেলওয়ে ‘রেল ওয়ান’ (RailOne) অ্যাপ চালু করা হয়, যা সুপার অ্যাপ হিসেবে কাজ করে। এই অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা শুধু সংরক্ষিত নয়, অসংরক্ষিত টিকিটও বুক করতে পাবেন। আবার এই অ্যাপটি রেলের বিভিন্ন যাত্রী পরিষেবার জন্য ওয়ান-স্টপ সমাধান হিসাবে কাজ করে।
কীভাবে ট্রেনে লোয়ার বার্থ পাওয়া যায়?
অনেক ক্ষেত্রেই দাবি করা হয়, লোয়ার বার্থ বরাদ্দের জন্য নতুন ব্যবস্থা অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের সময় যাত্রীরা ‘লোয়ার বার্থ প্রেফারেন্স’ বেছে নেওয়া সত্ত্বেও যাত্রীরা প্রায়শই সাইড আপার, মিডল বা আপার বার্থে আসন পাওয়া যাচ্ছে। তাতে অনেকের সমস্যাও হয়। বিশেষত যাঁদের বয়স বেশি, তাঁদের উপরে উঠতে কষ্ট নয়। সেই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভারতীয় রেলের নতুন লোয়ার বার্থ সংরক্ষণের নিয়মগুলি ভালোভাবে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় রেলের কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন সিস্টেমে, প্রবীণ নাগরিক, ৪৫ বছরের বেশি ঊর্ধ্বে মহিলা এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য লোয়ার বার্থ বরাদ্দ করার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই ফিচারটি নির্ভর করে আসনের প্রাপ্যতার ওপর। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, বুকিংয়ের সময় লোয়ার বার্থ পাওয়া না গেলে এবং উপরের বা মাঝের বার্থটি কোনও প্রবীণ নাগরিক বা সংশ্লিষ্ট যোগ্য মহিলাকে দেওয়া হয়। তবে ট্রেনের টিকিট চেকিং স্টাফ (টিটিই) যাত্রার সময় কোনও সিট খালি থাকলে এই ধরনের যাত্রীদের লোয়ার বার্থ বরাদ্দ করতে পারেন।
কতক্ষণ সিটে বসে থাকা যাবে?
ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষিত কামরায় রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘুমানোর সময় স্থির করা হয়। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের তাঁদের নির্ধারিত বার্থে ঘুমাতে বা শুয়ে থাকতে পারেন। দিনের বেলায় বসে যেতে হবে। আসলে শুয়ে থাকা এবং বসে থাকা নিয়ে মূল সমস্যাটা হয় লোয়ার এবং মিডল বার্থের ক্ষেত্রে। আপার বার্থের যাত্রীর ক্ষেত্রে শুয়ে থাকার কোনও সমস্যা হয় না সাধারণত।

রেলের রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম
এইসবের মধ্যে আরও একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। অ্যাডভান্স রিজার্ভেশন পিরিয়ড (এআরপি) পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ১২০ দিন আগে টিকিট কাটতে হত। এখন সেটা কমিয়ে ৬০ দিন করে দেওয়া হয়েছে।