দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতা সেই ডাক্তারি ছাত্রীকে এবার বাংলার বাইরে, ওড়িশায় নিয়ে যেতে চাইছেন তাঁর বাবা-মা। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর থেকে সম্পূর্ণ ভরসা হারিয়ে, মেয়েকে আরও বিপদের মুখে পড়ার আশঙ্কায় পরিবার চাইছে তাঁর চিকিৎসা ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত পরিবেশে হোক। ইতিমধ্যেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে পরিবার। ওই ছাত্রীকে ওড়িশায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবার আশঙ্কা, এই পরিবেশে মেয়েকে রেখে দিলে তাঁকে মেরেও ফেলা হতে পারে। এই জায়গার উপর তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। পরিবারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী, ডিজি, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহানুভূতি ও সাহায্য মিললেও, বাংলার মাটিতে এরকম নৃশংসতা ঘটতে পারা নিজেই উদ্বেগের কারণ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে এক সহপাঠীর সঙ্গে বেরোনোর পরেই ঘটে নির্যাতিতার ওপর নির্মম আক্রমণ। রাতের অন্ধকারে তিন যুবকের অত্যাচারের শিকার হন তিনি। অভিযুক্ত তিন জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে আশ্বাস দিয়েছেন, দোষীদের কড়া শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু তবুও বাবা-মায়ের মনে সন্দেহ কাটছে না, এই রাজ্যে তাঁদের মেয়ের ন্যায়, সুরক্ষা বা ভবিষ্যৎ কোনওটাই কি সুনিশ্চিত?

বাবার কথায়, মেয়ে এখনও হাঁটতে পারছে না। বেডরেস্টে রয়েছে। তাঁরা কৃতজ্ঞ যে প্রশাসন খোঁজ নিচ্ছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁর ওপর মানসিক চাপ আরও বেড়েছে। তাঁরা চান মেয়েকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে সুস্থ করাতে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে সবরকম সহযোগিতা দেওয়া হবে।
নির্যাতিতার বাবা এও জানিয়েছেন, সেই ভয়ঙ্কর রাতের কথা তিনিই প্রথম জানতে পারেন মেয়ের বন্ধুর ফোনে। রাত দশটার দিকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রাত আট-ন’টার মধ্যে ঘটনাটা ঘটে। তখন কেউ রাস্তায় ছিল না।