Bangladeshis nabbed by BSF in Pak Border। পঞ্জাব-পাক সীমান্ত দিয়েও অনুপ্রবেশ বাংলাদেশিদের?

Spread the love

পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান চলছে। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস থেকে প্রায় ৩৫০ চোরাকারবারিকে আটক করেছে। অর্থাৎ, গড়ে প্রতিদিন একজন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে। পঞ্জাবে ৫৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে মাদকদ্রব্য এবং অস্ত্র চোরাচালান প্রতিহত করতে আরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, অমৃতসর, তরণ তরণ এবং ফিরোজপুর জেলায় সবথেকে বেশি চোরাকারবারিকে ধরেছে বিএসএফ। এদিকে অবাক করা এক তথ্য দিয়েছে বিএসএফ। পঞ্জাব সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় বাংলাদেশি নাগরিকও ধরা পড়েছে।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরেই অমৃতসরের পুর মোরন গ্রামে এক বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়েছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময়। সেই বাংলাদেশির সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রায় ২২৫০০ টাকা নগদ ছিল। এছাড়া একটি স্মার্ট ওয়াচ এবং দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই বাংলাদেশির কাছ থেকে। এছাড়াও বিগত ২১ মাসে আরও একাধিক বাংলাদেশি নাগরিক ধরা পড়েছে পঞ্জাব সীমান্তে।

এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বিএসএফের অপারেশনাল জোন ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটারে করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে বৃহত্তর এলাকা জুড়ে বিএসএফ তল্লাশি চালাতে পারে এখন। সেখান থেকে অভিযানে কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারে বিএসএফ। বা কাউকে প্রয়োজনে ধরতেও পারে সীমান্তরক্ষা বাহিনী। তবে বিএসএফ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে বেশিরভাগ গ্রেফতারি সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই করা হয়েছিল।

বিএসএফের মুখপাত্র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল একে বিদ্যার্থী বলেন, ‘পাকিস্তানি চোরাকারবারিরা ড্রোন এবং জিপিএস ভিত্তিক ডেলিভারি ব্যবহার করছে। ২০২৪ সালে কুরিয়ার হিসেবে ১৬১ অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধরেছিল বিএসএফ। এই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও ১৮৬ জন চোরাকারবারিকে ধরেছে বিএসএফ। এদের মধ্যে ১৬ জন পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী, চারজন নেপালি এবং তিনজন বাংলাদেশি রয়েছে। এই সময় ৩ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী নিহত হয়।’

বিএসএফের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘পাকিস্তানি চোরাকারবারিরা ভারতের অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের কুরিয়ার হিসাবে নিয়োগ করছে। এই সব কুরিয়াররা যাতে আইনি ছাড় পায়, তাই এই পরিকল্পনা। তারা এমন নতুন মুখ বেছে নিয়েছে যাদের আগে কোনও পাচারের রেকর্ড নেই। চোরাচালানের এই ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএসএফ স্থল ও আকাশপথে নজরদারি জোরদার করেছে। নাইট ভিশন ডিভাইস, মোশন সেন্সর এবং অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *