জাপানের প্রথম মহিলা PM তাকাইচির পরিচয় অবাক করছে বিশ্বকে

Spread the love

ইতিহাসের নিরিখে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দাঁড়িয়ে জাপান। এই প্রথম সেই দেশ পেতে চলেছে এক মহিলা প্রধানমন্ত্রী। জাপানে বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল হল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপি। এই দলের নতুন সভাপতি হতে চলেছেন সানায়ে তাকাইচি। সংসদে যথেষ্ট পরিমাণে সমর্থন পেলে তিনিই হতে চলেছেন সূর্যোদয়ের দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।

মার্গারেট থ্যাচারের এক প্রকার ভক্ত

প্রসঙ্গত, নয়া প্রধানমন্ত্রীকে দলের তরফে বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বেশ কিছু কারণ। তাকাইচির আদর্শগত অবস্থান জাতীয়তাবাদী। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের এক প্রকার ভক্ত তিনি। সে কারণে জনসাধারণের মধ্যে বিশেষভাবে পরিচিতও বটে। পাশাপাশি এলডিপির একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা হলেও কিছুটা ডানপন্থী মনোভাবাপন্ন মহিলা তাকাইচি। বর্তমানে জাপানের বহু তরুণ ছোট ছোট বিরোধী দলগুলির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের মন ঘোরাতেই লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির তুরুপের তাস তাকাইচি।

তাকাইচির ব্যক্তিত্বের আকর্ষণীয় দিক

তাকাইচি আরও বেশ কিছু পরিচিত সমীকরণ বা ছক ভেঙে ফেলতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। জাপানের সরকার অনেকটাই পুরুষশাসিত। সেখানে তাকাইচি মহিলাদের মন্ত্রিসভা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জাপানের পুরুষ প্রধান শাসক দলের তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে নিজের শহর নারা থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং লিঙ্গ সাম্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তাকাইচি।

কেন তাকাইচিকে এগিয়ে দিল দল?

একাধিক কারণে জাপানের জনসাধারণ ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ বর্তমান সরকারের উপর। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি তার অন্যতম কারণ। মানুষের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই দল ও সরকারে বদল আনতে চলেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এলডিপি। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই জাপান শাসন করেছে এই দল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু সমস্যার শিকার ওই দেশ। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির একাধিক প্রতিশ্রুতির দিকেও ঝুঁকছেন জনসাধারণের একটি বড় অংশ। এমন অবস্থায় জাপানের সরকারে বদল এনে সরকারের প্রতি জনসাধারণের সমর্থন টিঁকিয়ে রাখতে মরিয়া জাপান সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *