Barrackpore Housewife Death। ব্যারাকপুরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী গৃহবধূ

Spread the love

ফের SIR আতঙ্কের শিকার ব্যারাকপুরের এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। পাশ থেকেই পাওয়া গিয়েছে একটি চিরকূট। সেখানে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। তবে মৃতা গৃহবধূর পরিবারের দাবি, ‘SIR আতঙ্কের শিকার হয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।’ বিয়ের পর বাংলাদেশ থেকে ব্যারাকপুরে এসেছিলেন মৃতা কাকলি ঘোষ (৩৩)। SIR ঘোষণার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে দাবি তাঁর পরিবারের।

ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে দেহ

আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ। কাকলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, কাকলি বিয়ের আগে বাংলাদেশের বাসিন্দা ছিলেন। তবে এই দাবি নিয়ে এখনও প্রশাসনের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

গ্রেফতার স্বামী, শ্বশুর

ব্যারাকপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল রোড, মনসা মন্দির এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কাকলি। দুই সন্তান, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে ঘর ছিল তাঁর। SIR ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বরকে নিজের দেশে নিয়ে যেতে বারংবার বলেছিলেন কাকলি। কিন্তু সেই কথা রাখেননি তিনি। সময় চেয়েছিলেন স্বামী সবুজ সরকার। তবে তার আগেই কাকলি চরম পদক্ষেপ নেন বলে দাবি পরিবারের।

কী বলছেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

বৃহস্পতিবারে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ব্যারাকপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে স্বামী সবুজ সরকার শ্বশুর সুরেশ সরকার ও সবুজ সরকারের দাদাকে। সংবাদমাধ্যমের কাছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর শুভ্রকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘এই ঘটনায় এসআইআর বা এনআরসির কোন যোগ নেই। পুলিশ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। ওই বধুর সুইসাইড নোটে অবশ্য লেখা রয়েছে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ তাদের দায়ী নয়। তবে গোটা ঘটনারই তদন্ত হবে।’ প্রসঙ্গত রাজ্যে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক আত্মহত্যার খবর উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। কখনও পানিহাটি, কোচবিহার, কখনওবা পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এসেছে আত্মহত্যার খবর। তবে ব্যারাকপুরের ঘটনা বিচ্ছিন্ন বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *