পাকিস্তানের শুধু মুখ পুড়েছিল (যাতে ইসলামাবাদ অভ্যস্ত)। কিন্তু চিনের আমও গেল, ছালাও গেল। কারণ গত মে’তে অপারেশন সিঁদুরের সংঘাতের সময় পাকিস্তান যে চিনা পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ছুড়েছিল, সেটার কয়েকটি আধুনিক বৈশিষ্ট্য ভারতের নিজস্ব অস্ত্র মার্ক-২ ক্ষেপণাস্ত্রে যোগ করার সিদ্ধান্ত নিল ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও)। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ডিআরডিও বা ভারত সরকারের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রাখা হয়েছে।
চিনের মিসাইল পুরো অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়
তবে বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পহেলগাঁও হামলার পরে যখন সংঘাত চরমে উঠেছিল, তখন পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান থেকে চিনের সেই মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। ৯ মে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের একটি জমি থেকে সেই পিএল-১৫ই (পিএল-১৫ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের রফতানি ভার্সন, যা পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন) ক্ষেপণাস্ত্র সম্পূর্ণ অক্ষতভাবে উদ্ধার করা হয়েছিল।
কীভাবে চিনের আমও গেল, ছালাও গেল?
তার ফলে স্বভাবতই মুখ পুুড়েছিল পাকিস্তান। আবার যে মিসাইল নিয়ে এত হইচই করে চিন, সেটা অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছিল বেজিংও। সেখানেই থেমে থাকেনি অস্বস্তি। কারণ অক্ষত অবস্থায় পিএল-১৫ই মিসাইল পাওয়া যাওয়ায় সেই ক্ষেপণাস্ত্রের খুঁটিনাটি গোয়েন্দা তথ্যও বের করেছে ভারত।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে কার্যকারিতার নিরিখে ভারতীয় মিসাইলের থেকে পিছিয়ে থাকলেও চিনা পিএল-১৫ই ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি বেশি আধুনিক প্রযুক্তির সন্ধান মিলেছে। সেগুলিকেই ভারতের নিজস্ব অস্ত্র মার্ক-২ ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে ডিআরডিও। বিশেষত রেডার প্রযুক্তির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নিজের বহর আরও বাড়ানোর পথে ভারত
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের নিজস্ব অস্ত্রশস্ত্র দারুণভাবে কাজ করেছে। যেখানে ব্রহ্মস, স্ক্যাল্পের মতো মিসাইল চমৎকার কার্যকারিতা দেখিয়েছে। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনাকারীরা রাফাল ফাইটার জেটের জন্য অতিরিক্ত মেটিয়োপ মিসাইল কেনার দিকে এগোচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে ভারতীয় বায়ুসেনা কোনও সম্মুখীন না হয়।
শুধু তাই নয়, ৮০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি পরবর্তী প্রজন্মের ব্রহ্মস মিসাইলও তৈরি করা হচ্ছে, যা প্রায় সমগ্র পাকিস্তানের উপর আঘাত হানতে সক্ষম হবে। পাকিস্তানের তিন থেকে পাঁচটি চিনা এইচকিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমসহ ক্রমবর্ধমান হুমকির প্রেক্ষাপটে একটি কৌশলগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, ভবিষ্যতে ভারতীয় ফাইটার জেটগুলি সম্ভবত শত্রুর এয়ার ডিফেন্স জোনের বাইরে থেকে অভিযান চালাবে এবং ভূমি ও আকাশভিত্তিক রেডার সিস্টেমকে পরাস্ত করার জন্য ডিজাইন করা দূরপাল্লার সুপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করবে।