দুলারচাঁদ যাদব হত্যাকাণ্ডে মোকামা থেকে জনতা দল ইউনাইটেড প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই দুলারচাঁদ ছিলেন প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির কর্মী। এই গ্রেফতারির পর থেকেই বিহারের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে পটনার সিনিয়র এসপি কার্তিকেয় শর্মা প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করতে তাঁর দল নিয়ে মোকামায় পৌঁছেছিলেন। এই মামলায় অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করার পর এক্স-এ তাঁর একটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে। তাতে জেডিইউ নেতা অনন্ত কুমার সিং লিখেছেন, ‘সত্যমেব জয়তে!! মোকামার মানুষের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। তাই এখন মোকামার জনগণ এই নির্বাচন লড়বে।’
গ্রেফতারির আগে শনিবারও মোকামা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন অনন্ত সিং। পরে গভীর রাতের দিকে পটনা জেলার এসএসপি কার্তিকেয় শর্মা ভারী পুলিশ বাহিনী নিয়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে তাঁকে গ্রেফতার করেন। সেই সময় অনন্ত সিং ঘুমিয়ে ছিলেন। গ্রেফতারির পর তাঁকে পটনায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় মোকামা, বারহ, ঘোসওয়ারি, হাতিদাহ ও ভাদৌর থানার পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিআইডির একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা দাবি করেন, খুনের সময় অনন্ত যে ঘটনাস্থলে ছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে।
অনন্ত সিং ছাড়াও এই মামলায় মণিকান্ত ঠাকুর এবং রঞ্জিত রামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারহ থানা এলাকার বেধানা গ্রাম থেকে অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করা হয়। রাত প্রায় ২টোর দিকে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে অনন্ত সিং এবং তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএম ডঃ ত্যাগরাজন এবং এসএসপি কার্তিকেয় শর্মা। এসএসপি জানিয়েছেন, গত ৩০ অক্টোবর খুশালচাকে খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এরপরই উদ্ধার হয় দুলারচাঁদ যাদবের দেহ। পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তেও অনেক সূত্র পাওয়া গেছে।
